সৌন্দর্য বর্ধন ও উন্নত কাঠ উৎপাদনের জন্য পাউলোনিয়ার বাণিজ্যিক বাগান অত্যন্ত লাভজনক। বিঘাপ্রতি ১৫০টি (প্রতি একরে ৪৫০টি) গাছ রোপণ করা যায়। তা থেকে ৭-৮ বছরে প্রতিটি গাছ থেকে ন্যূনতম ১৫ ঘনফুট কাঠ পেলে তার সম্ভাব্য বাজার মূল্য (বাংলাদেশ) দাঁড়ায় নিম্নরূপ। যেহেতু একবার রোপণের মাধ্যমে আটবার ফলন তোলা যাবে তারও একটা সম্ভাব্য হিসাব দেওয়া হোল (যদিও তা ভবিষ্যৎ বাজার মূল্যে কয়েকগুণ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি রয়েছে)-
আয় |
গাছের সংখ্যা |
ঘনফুট কাঠ |
প্রতি ঘনফুট কাঠের দাম |
মোট টাকা একবার ফলনে |
বিঘাপ্রতি |
১৫০ |
১৫ |
১৫০০ |
৩৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা |
একরপ্রতি |
৪৫০ |
১৫ |
১৫০০ |
১ কোটি ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা |
আয় |
মোট টাকা (১ বার ফলনের) |
পরবর্তী ফলন |
মোট টাকা সাতবার ফলনে |
বিঘাপ্রতি |
৩৩,৭৫,০০০ |
৭ |
২ কোটি ৩৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা |
একরপ্রতি |
১,০১,২৫,০০০ |
৭ |
৭ কোটি ৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা |
ব্যয় |
গাছের সংখ্যা |
প্রতি গাছের ৮ বছরের ব্যয় |
মোট টাকা একবার রোপণের ব্যয় |
বিঘাপ্রতি |
১৫০ |
১০০০ |
১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা |
একরপ্রতি |
৪৫০ |
১০০০ |
৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা |
প্রতি চারার মূল্যসহ, চারা রোপণ, সার, সেচ ও ৮ বছরের জন্য প্রতিটি গাছের সর্বমোট ব্যয় ১,০০০ টাকা প্রথমবার রোপণের জন্য ধরা হয়েছে। পরবর্তী সাতবার ফলনের জন্য শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য যৎসামান্য ব্যয় হবে বিধায় তা আর পরিসংখ্যানে উল্লেখ্য করা হলো না।
বর্তমানে (২০২০) সালে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঠের মানের উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন মূল্য প্রতি ঘনফুট ৩,০০০ টাকা (৩৫ ইউএস ডলার) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রতি ঘনফুট ১৪,০০০ টাকা (১৬৫ ইউএস ডলার) বিক্রয়মূল্য পাওয়া যায়। সুতরাং সহজেই অনুমেয় যে, বাণিজ্যিকভাবে পাউলোনিয়া গাছের বাগান কতটা লাভজনক!